সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে করোনার কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে বন্ধ থাকার পর ফের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে। উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার ঘোষিত ১৯ দফা শর্ত দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
রোববার সারাদেশের ন্যায় বকশীগঞ্জ উপজেলা ২৩৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। এরমধ্যে ১১১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩০ টি মাধ্যমিক বিদ্যায়, ১৬ টি মাদ্রাসা ও ৪ টি কলেজে পাঠদান শুরু হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত প্রায় শতাধিক কিন্ডার গার্ডেন (কেজি) স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থামাল স্ক্যানার মেশিন দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। প্রতিটি কলেজ, বিদ্যালয় , মাদ্রাসা গুলোতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নিশ্চিত করা হয়। প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রতিটি বেঞ্চে দুজন করে শিক্ষার্থী বসানো হয়। বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার জন্য বেসিন বসানো হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
অনেক দিন পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পেরে আনন্দিত হতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাথীরা বিদ্যালয়ে ফেরায় বিদ্যালয় গুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
বকশীগঞ্জ সরকারি উলফাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে প্রবেশ করানো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছরুয়ার আলম ও উপজেলা শিক্ষা কর্র্মকর্তা রশিদা বেগম জানান, বিদ্যালয় গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত সকল শর্ত মেনেই ২৩৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনে পাঠদান কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন।